একদিনেই কেজিতে ১০ টাকা বাড়ল আমদানি করা পেঁয়াজের দাম
২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৯ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪১
দিনাজপুর: অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে ও রফতানি নিরুৎসাহিত করতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। সেই অস্থিরতা কাটতে না কাটতে আবারও ভারত সরকারের শুল্কায়ন মূল্যবৃদ্ধির খবরে হিলি স্থলবন্দরে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। মূলত ভারতের ইন্দোর, নাসিক, মহারাষ্ট্রসহ বেশকিছু রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ একদিন আগেও বন্দরে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৪ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
শুল্কায়ন মূল্যবৃদ্ধি করতে না করতেই পেঁয়াজের দাম বাড়ায় হতাশ বন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার সপ্তাহের শুরুর দিন ভারত থেকে ৩৭ ট্রাকে ১ হাজার ৯৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজে আগের শুল্কে ভারত রফতানি করলেও বাংলাদেশি আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটে দাম বাড়ানো হয়েছে।
বন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতার বলেন, ‘রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা হলো কিন্তু হঠাৎ করে আজ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। দাম কম হলে আমরা বন্দর থেকে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনতে পারি।’
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাবার কারণে সেখান থেকে বেশি দামে কিনে আমদানি করতে হচ্ছে। যার কারণে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।’ তবে আমদানি বাড়লে দাম আবারও কমে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্দরে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।’
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য তাই বন্দর থেকে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত নিয়ে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য তাদের সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। পেঁয়াজ লোড-আনলোডের জন্য আলাদা করে শ্রমিক রাখা হয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও