ডেঙ্গু: চট্টগ্রামে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু
২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রামে এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি তথ্যে চলতি বছরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলেখা আক্তার (২৮) নামে এক নারী গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডে।
রোববার (২০ আগস্ট) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিন্ড্রোম’ উল্লেখ করা হয়েছে।
একইদিন রাতে হিরা মিয়া (১৮) নামে আরও এক তরুণ মারা গেছেন। তিনিও সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিন্ড্রোম’ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৩১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৮ জন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ হাসপাতালে এবং ৬ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত আরও ২৯ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট ৪ হাজার ৯৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৪ হাজার ৬৮০ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
চলতি আগস্ট মাসে ২ হাজার ১৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩১১ জন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুনে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছর মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে শিশু-কিশোর-তরুণ মিলিয়ে ১৯ জন, ১২ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী আছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩ জন, জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১৬ জন এবং আগস্টে ২২ দিনে ২৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জন মারা গিয়েছিল।
সারাবাংলা/আইসি/এনইউ