তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিয়ে রুল শুনানি বুধবার

ফাইল ছবি

ঢাকা: আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য বুধবার (২৩ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদা খানম ও নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এ ছাড়া এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন কায়সার কামাল।

এর আগে আজ সকালে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুল শুনানির দিন ধার্যের শুনানিতে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।

শুনানির একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানির সময় পিছিয়ে আগামীকাল ধার্য করার কথা বলেন। এ সময় কায়সার কামালের উদ্দেশে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, শুনানি কখন হবে সেটি আপনি বলার কে?

এ সময় কোর্টে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হইচই করেন এবং দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করেন।

আদালত দুপুর ২টার পর শুনানি নিয়ে আগামীকাল বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন।

এর গত ১৩ আগস্ট ঠিকানা সংশোধন করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় জারি করা রুলের নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এরপর গত ১৮ আগস্ট ঠিকানা সংশোধন করে আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে রিটকারি ঠিকানা সংশোধন করে আবেদন করেন।

এর আগে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনবেন বলেছিলেন হাইকোর্ট। এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীদের আসতে বলেছিলন হাইকোর্ট।

গত ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে ২০১৫ সালে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা আদালতে আবেদন করেন।

গত ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন আদালত। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অর্ন্তর্বতীকালীন এ আদেশ দিয়েছিলেন।

পাশাপাশি তারেক রহমানের বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর দীর্ঘ দিন পর সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ওই রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় রিটকারী।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ তারেক রহমান হাইকোর্ট