বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের ৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলংকা
২১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৬ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৩
ঢাকা: শ্রীলংকা দেওয়া ঋণের ৫ কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশকে ৫ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেরত ফেরত দেয় দেশটি। আগামী ৩০ আগস্ট আরও ৫ কোটি ডলার ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্রীলংকাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে আমরা প্রথম কিস্তি পেয়েছি। বাকি টাকাও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত দেবে বলে আশা করছি।’
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। বৈদেশিক ঋণের চাপে জর্জরিত শ্রীলংকা সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি। এরপর কয়েকবার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশেষে দেশটি ৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। এর আগে, বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ২০২১ সালে শ্রীলংকা বাংলাদেশের কাছে ঋণ চায়। এরপর ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়ে তখন দেশটির পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিলেও পরে কয়েক কিস্তিতে ২০ কোটি ঋণ ডলার দেয়। ‘কারেন্সি সোয়াপ’ ব্যবস্থায় নেওয়া এ ঋণ পরিশোধের কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে। এ ঋণের ক্ষেত্রে লাইবর রেটের সঙ্গে ২ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার প্রথম কিস্তি ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর। এরপর ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় একই বছরের নভেম্বরে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ২০২২ সালের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি। পরে কয়েক দফা সময় চায় তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে দেয়। সবশেষ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া আছে। এই সময়ের মধ্যে ঋণের পুরো অর্থ শ্রীলংকা বাংলাদেশকে পরিশোধ করবে বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/জিএস/একে