ডিএনসিসি’র কালো তালিকায় মার্শাল অ্যাগ্রোভেট
১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪২ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪২
ঢাকা: জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) সরবরাহে প্রতারণার দায়ে মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এছাড়া মশার লার্ভা নিধনের ব্যাকটেরিয়া বিটিআই আমদানিতে উত্থাপিত জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএনসিসি।
শনিবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এ বিষয়ে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের স্বাক্ষরিত দু’টি পৃথক অফিস আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ‘মার্শাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লি.’কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কার্যক্রমে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ডিএনসিসির ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগের দাপ্তরিক ই-মেইল থেকে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সিঙ্গাপুর থেকে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিটিআই সরবরাহ করা হয়নি এবং মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ওই প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত পরিবেশক না। এছাড়া মার্শাল এগ্রোভেট মি. লি কিয়াং, যিনি বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিটিআই এক্সপার্ট ও রপ্তানি ব্যবস্থাপক বলে দাবি করেছেন, তিনি বেস্ট কেমিক্যালের কর্মচারী নন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের ব্যাকটেরিয়া আমদানিতে উত্থাপিত জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ডিএনসিসি। তদন্ত কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং এই কমিটিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সকল সাচিবিক সহযোগিতা দেবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিটিআই আমদানিতে প্রতারণায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ডিএনসিসির সম্মানহানি করায় প্রতারক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স। জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/আরএফ/এমও