রেললাইনে বন্যার অভিযোগ, রেলসচিবের ‘না’
১৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০০ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৩:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে নতুন নির্মিত রেললাইনের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামে জলজটের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর। তবে টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনে আরও কালভার্ট নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কার করে নির্ধারিত সময়েই এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সচিব।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ পরিদর্শনে গিয়ে রেলসচিব এসব কথা বলেন।
চলতি মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে বান্দরবান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায়। নির্মাণাধীন দোহাজারি-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের সাতকানিয়া এলাকায় রেললাইনের নিচ থেকে মাটি-পাথর সরে যায়। এতে প্রায় এক কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রেলসচিব হুমায়ুন কবীর প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে প্রকল্পের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সংস্কার করে রেললাইন নির্ধারিত সময়েই চালু করা যাবে। খুব শীঘ্রই টেকনিক্যাল কমিটির সাথে আলাপ করে শুরু হবে।’
বন্যাকবলিত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেললাইনের কারণে পানিপ্রবাহ আটকে যাওয়ায় তাদের বন্যায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রেললাইনে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্রিজ-কালভার্ট না রাখায় পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলসচিব বলেন, ‘অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প শুরুর আগে যে পরিমান কালভার্ট রাখার কথা বলা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি কালভার্ট রাখা হয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটির সাথে আলাপ করে প্রয়োজনে আরো কালভার্ট দেওয়া হবে।’
এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানসহ রেলসচিবের সঙ্গে ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮৮ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১২ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ আগামী দেড় মাসের মধ্যে শেষ হবে। অক্টোবর মাসেই বিশেষ এই প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা আছে।
সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দোহাজারী –কক্সবাজার রুটের১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার বেশি।
সারাবাংলা/আরডি/একে