শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে: মির্জা আব্বাস
১৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৭
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের দাবি আদায় করতে শিখে গেছে। এখন আর হামলা-মামলায় কারও কোনো ভয় নেই। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে এ গণমিছিল আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। গণমানুষের অধিকারের কথা বললেই সরকার টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে, খুন, গুম ও হত্যা করে, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে।’
‘আমি বলতে চাই, হুমকি-ধমকি দিয়ে ১৫ বছর পার করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন আর কোনো কিছুতেই কাজ হবে না’— বলেন মির্জা আব্বাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেশের মানুষ এই সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। লাল কার্ড দেখালে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। সুতরাং এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।’
সমাবেশের পর বিকেল চারটার দিকে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিল শুরুর সময় গুলশান-১ নম্বর চত্বর থেকে মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের একপাশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে মিছিল ও স্লোগান দেয়। মিছিলের সামনে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর। এর পেছনে ছিল জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
বিকেল পৌনে ৫টায় গণমিছিলটি মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছায়। টার্মিনালের সামনে ইউটার্ন নিয়ে উল্টোদিকের সড়কে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। প্রায় মিনিট দশেক পরে গণমিছিলের ট্রাকমঞ্চ মহাখালীতে পৌঁছায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে নেতা-কর্মীদের পরবর্তী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন মির্জা আব্বাস।
মিছিলে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কামরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ঢালী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তাবিথ আউয়াল, আামিনুল হক প্রমুখ।
গত ১২ জুলাই একদফার এ আন্দোলন শুরুর পর ঢাকায় মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি এবং গণমিছিল করেছে বিএনপিসহ শরিক জোটগুলো। এবার চতুর্থ এই কর্মসূচিতে ঢাকাসহ বাইরের মহানগরগুলোতে গণমিছিল করেছে তারা।
বিএনপি ছাড়া যুগপৎ আন্দোলরের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাব, ১২ দলীয় জোট ফকিরাপুল পানির ট্যাংক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয় নগর, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি আরামবাগ, এলডিপির এফডিসির সামনে, লেবার পার্টি পুরানা পল্টনে মসজিদের সামনে, এনডিএম মালিবাগ মোড়, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সেগুনবাগিচার স্কু্লরে সামনে, গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) রামপুরা ব্রিজ, গণঅধিকার পরিষদ (নূর) ফকিরাপুর কালভার্ট রোড় এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ শাহবাগ মোড় থেকে গণমিছিল করে।
সারাবাংলা/এজেড/একে