বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে কাঁদলেন ড. মসিউর রহমান
১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৮ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৭
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বঙ্গবন্ধুকে কাছে থেকে দেখা-তৃতীয় পর্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি স্মৃতিচারণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে তার পার্সোনাল সেক্রেটারি হিসেবে এক সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন মসিউর রহমান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো উদার মনের মানুষ আমি আর দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ৭৪ সালে। যখন আমি বিদেশে পিএইচডি পড়তে যাই। আমি ও আমার স্ত্রী বিদায় নেওয়ার জন্য তার বাসায় যাই। একজন রাষ্ট্রের প্রধান হয়েও বঙ্গবন্ধু নিজেই নিচে নেমে এসে আমার মতো ছোট কর্মচারীর গাড়ির দরজা খুলে দেন। আমার স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। আমাকে তিনি বলেন, টাকা-পয়সার কোনো সমস্যা হলে আমাকে ও অথবা ফরাসউদ্দিনকে বললে টাকা পাঠিয়ে দেবে। কষ্ট করার দরকার নেই। পড়ালেখা শেষ করে আবার দেশে ফিরে আসিও।’
এ কথা বলার সময় ড. মসিউর রহমানের কণ্ঠ জড়িয়ে আসে। এ সময় তাকে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণে। ভিন্ন মতের হলেও স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া যে কোনো নেতার উপকার করতে তিনি কার্পণ্য করতেন না। কমিউনিস্টসহ বাম দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল নিবিড়। তিনি খুব সময়ে ও স্বাভাবিকভাবে মানুষকে কাছে টানতেন।’
ড. মসিউর রহমান আরও বলেন, ‘বাকশাল ছিল নতুন ধরনের একটি রাজনৈতিক চিন্তা। এটি বহুমতকে এক করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রধান করে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার এক্সপেরিমেন্ট সফল হয়নি। তিনি মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে একটি প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তার মত ছিল যে যার ধর্ম পালন করবে। সমস্যা নেই। কিন্তু ধর্মনির্ভর রাজনীতি থাকবে না।’
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মসিউর রহমান। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌৗফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সারাবাংলা/জেজে/একে