বিটিআই জালিয়াতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা: মেয়র
১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৭ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৩১
ঢাকা: মশা মারার ওষুধ ব্যাসিলাস থুরিনজিয়ানসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেটের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। একইসঙ্গে মার্শালের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ডিএনসিসি মেয়র মশক নিধনে সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ এলাকায় পরিদর্শনে যান।
মেয়র বলেন, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট যেহেতু দাবি করেছে তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে, তাই তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা কোন কোম্পানি থেকে এনেছে, কার মাধ্যমে এনেছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন হবে হাজার টন। চাইলে বিটিআই সংগ্রহ করে যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
মেয়র বলেন, প্ল্যান্ট প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী এই বিটিআই যে কেউ আমদানি করতে পারবে। ফলে সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে তাদেরই কাজ দেয়া হয়েছে। কোন দেশ থেকে আনতে হবে তা পিপিআরে কোথাও বলা ছিল না। আনার পরে জাহাঙ্গীরনগর কীটতত্ত্ব বিভাগে পরীক্ষা করা হয়, সেখানে কার্যকর প্রমাণিত হয়। পরবর্তী ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআর সবাই এটাকে কার্যকর বলেছে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়ানসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) নামক জৈব কীটনাশক আনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি। মার্শাল অ্যাগ্রোভেট নামক একটি প্রতিষ্ঠান এটি আমদানি করে ডিএনসিকে সরবরাহ করে। সারাবাংলাকে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড জানায় তারা মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে চেনে না এবং এই নামে কোনো পণ্য তারা বাংলাদেশি কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করেনি। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ সারাবাংলা।
সারাবাংলার অনুসন্ধানের জানা যায়, বিটিআই আমদানির লাইসেন্স নেই মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের। সংবাদ প্রকাশের আগে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তা না দিলেও সংবাদ প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডিএনসিসি জানিয়েছে বিটিআই আনার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের। পণ্যটি বর্তমানে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষায় নকল প্রমাণিত হলে মার্শালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
- টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘন, ‘নকল’ বিটিআইয়ে জনস্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা
- বিটিআই নকল প্রমাণ হলে আইনি ব্যবস্থা: ডিএনসিসি
সারাবাংলা/আরএফ/আইই