‘জেলহাজতে বিরোধী নেতা-কর্মীরা একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে’
১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০৮
ঢাকা: জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নিপীড়ন—নির্যাতনে এবং বিনা চিকিৎসায় ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। দেশের কারাগুলো শেখ হাসিনার কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ এদের আমলে কারাগারে বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর ধরে স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিনী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। বন্দি অবস্থায় করা হচ্ছে অমানবিক নিপীড়ন। তাকে উন্নত মানের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার দস্যুদলের মতো বন্য আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্যারোলের অনুমতি পাওয়া সত্ত্বেও মায়ের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুকে। প্যারোলে মুক্তির সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেও জেলগেটে গাড়িতে ওঠানোর সময় তাকে কারাগারে আবার ফেরত পাঠানো হয়। উপরের নির্দেশেই নাকি তাকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।’
রিজভীর অভিযোগ, উচ্চ আদালত জামিন দিলেও বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শরিফুল হক মিলনকে ধানমন্ডি থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সরোয়ার আলমকে গত ১৩ আগস্ট সকাল ১১টায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। এছাড়াও ১৫নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. সবুর খান ও ১৫নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি জানান- ২৮ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির ৮৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫০ জন নেতা-কর্মীকে।
সারাবাংলা/এজেড/একে