চবি ছাত্রদল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদত্যাগ
১৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:৫৫ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০২:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘ত্যাগী ও নির্যাতিত’ সহযোদ্ধাদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে লেখা পদত্যাগপত্রে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন কর্মী হিসেবে দীর্ঘসময় ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের আহ্বানে দেশরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলাম। দল আমাকে ইতোপূর্বে ছাত্রদলের চবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেছিল। আমি আমার সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং কর্তব্যের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’
‘এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি এবং আমার সহযোদ্ধাদের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। গত ১১ আগস্ট ঘোষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী এবং নির্যাতিত সহযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। ঘোষিত এই কমিটির নেতৃত্বে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের এক দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রদলের কর্মীসহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করে আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করছি। তাই আমি চবি ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। আমার যা বক্তব্য, সব আমি লিখিত আবেদনপত্রে বলেছি।’
চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘মহসিনের মতো একজন অযোগ্য, অপদার্থ লোককে সভাপতি হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। অযোগ্য লোককে পদায়িত করার ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ করতে পারে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি এখনও চিঠি দেখিনি। কিছু একটা পাঠিয়েছে, কিন্তু আমি দেখিনি। উনি আমাকে ফোন করেছিলেন।’
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।
সারাবাংলা/এমএ/পিটিএম