চীনের ‘খপ্পরে’ পড়িনি, কনগ্রেসম্যানদের বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৯ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৩
ঢাকা: বাংলাদেশ চীনের ‘খপ্পরে’ পড়েনি— মার্কিন কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসম্যান এড কেস এবং রিচার্ড ম্যাককরম্যাক। বৈঠকে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ চীনের খপ্পরে পড়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই উত্তর দেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন নিয়ে বলেছে যে, তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছ। আমরা বলেছি না। আমরা চীনের ভেতরে যাচ্ছি না। আমাদের ঋণের এক শতাংশের মতো চীন থেকে নেওয়া। এটি কোনো বড় বিষয় নয়।’
তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে (কংগ্রেসম্যান) বিভিন্ন লোকজন বলছে বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর জায়গা। এরা চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে। চীনের গোলাম হয়ে গেছে। এটি একটি ভয়ংকর জায়গা, যেখানে অশান্তি এবং পুলিশ যখন-তখন লোক ধরে ফেলছে ও মেরে ফেলছে।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের ‘ফর্মুলা’ দিচ্ছে না এবং তারা ‘সমঝোতার পথ আছে কিনা’ জানতে চেয়েছে। তিনি বলেন, তারা বলেছে তোমাদের সমঝোতার পথ আছে কিনা। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি– সরকারের পতন হবে, তারপরে নির্বাচন করবে, সেটির সঙ্গে আমাদের সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, ‘তোমাদের দেশে কি নির্বাচনের সময়ে সরকারের পতন হবে? নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দাবি করলে কি তোমরা আলোচনা করবে? নিশ্চয়ই না।… আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করব এবং সেটিতে সবাই অংশগ্রহণ করুক এটি আমরা চাই। কে জিতবে না জিতবে সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে।’
এদিকে, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের কাজ-কর্ম নেই। তোমরা এদের (রোহিঙ্গাদের) তোমাদের দেশে কাজ-কর্ম দিয়ে দাও। ট্রেনিং দাও। আমি বললাম, দুনিয়াতে আমরা সবচেয়ে বেশি ঘনবসতির দেশ। আমাদের লোকেদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হচ্ছে। ওরা (রোহিঙ্গারা) দেশে ফেরত যাক। আমাদের অগ্রাধিকার প্রত্যাবাসন।’
দুই কংগ্রেসম্যান শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন এবং সোমবার তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে