Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তারেক রহমানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১১ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৫

ঢাকা: আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের নোটিশ রিটে পিটিশনে উল্লেখিত তারেকের গুলশানের ঠিকানায় পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, আইনজীবী সানজিদা খানম ও আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। অন্যদিকে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কায়সার কামাল।

এর আগে, গত ১০ আগস্ট সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে জারি করা রুল শুনানির জন্য তারেক রহমানের সঠিক ঠিকানা যুক্ত করে আবেদন করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন আদালত।

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে ২০১৫ সালে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন।

এর আগে, গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে। শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কীভাবে রুল শুনানি হবে? জবাবে রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ওনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে আওয়ামীপন্থী এক আইনজীবী তারেক রহমানকে পলাতক বলার সঙ্গে সঙ্গেই এজলাসে হট্টগোল শুরু হয়। চলে বাগবিতণ্ডা।

বিজ্ঞাপন

পরে হাইকোর্ট বলেন, রুলস অনুযায়ী অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে তারেক রহমানকে। তবে সেটা কোন প্রক্রিয়ায় তার উপায় খুঁজতে হবে। বিকল্প পদ্ধতি বের করতে হবে।

এ সময় বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা যেহেতু এ মামলার শুনানিতে এসেছেন, এক অর্থে তো আপনারা নোটিশ পেয়ে গেছেন। জবাবে বিএনপিপন্থী আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য এখানে এসেছি। নোটিশ পেয়ে নয়।

এর আগে, একই বেঞ্চ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনবেন বলেছিলেন হাইকোর্ট। এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীদের আসতে বলেছিলন হাইকোর্ট। গত ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বতীকালীন এ আদেশ দিয়েছিলেন।

পাশাপাশি তারেক রহমানের বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এর দীর্ঘ দিন পর সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ওই রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় রিটকারী।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

টপ নিউজ তারেক রহমান বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর