Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাটা হচ্ছে শতবর্ষী কোটি টাকার গাছ, দায় নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২৩ ২০:১১

নড়াইল: নড়াইলে জেলা পরিষদের কোটি টাকার শতবর্ষী মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ কাটা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নড়াইল জেলা শহরের রাস্তা প্রশস্ত করতে রাস্তার দুই পাশের শতবর্ষী অর্ধশতাধিক মেহগনি ও রেইনট্রি গাছগুলো কেটে জেলা পরিষদের রাখার কথা থাকলেও জমা পড়েনি অধিকাংশ দামি গাছ। অভিযোগ উঠেছে, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. লুৎফর রহমানের যোগসাজসে রাস্তা থেকেই গাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কোনো দায় নিতে নারাজ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠের ব্যাপারি বাশার মেম্বার শহরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। তাহলে গাছ কাটছেন কেন প্রশ্ন করলে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর লোক কাটতে বলেছে তাই কাটছি। আর কোনো কথা আমি বলতে পারব না।’

মালিবাগ আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার ফরহাদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের মালিবাগ মোড় থেকে শীতারামপুর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। রাস্তার কাজের স্বার্থে আমরা জেলা পরিষদকে অনেক আগে গাছ সরিয়ে নিতে বলেছি কিন্ত জেলা পরিষদ গাছ সরাতে গড়িমসি এবং নিজ খরচে গাছ সরিয়ে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। তাই আমরা কাজের সুবিধার্থে জেলা পরিষদের সঙ্গে সম্বন্বয় করে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে জ্বালানি কাঠের বিনিময়ে কাঠুরেরা গাছ কাটবে। আর জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গাছের মূল অংশ (লগ কাঠ) জেলা পরিষদে জমা হবে এভাবে গাছ কাটার সমন্বয় করা হয়েছে।’

নড়াইল শহরের চৌরাস্তা এলাকার নাসিম বিল্লাহ্ অভিযোগ করেন, কাঠের ব্যাপারি বাশার মেম্বার গাছ কেটে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে শতবর্ষী মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার সামনের মোটা মেহগনি গাছসহ একটি গাছও জেলা পরিষদে জমা হয়নি। রাস্তা থেকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে গাছ।

নড়াইল শহরের ভওয়াখালী গ্রামের বাবু মোল্লা বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে লোকজন রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুই জানি না, টেন্ডার ছাড়া কিভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে নড়াইলবাসী এগুলো জানতে চায়।’

বিজ্ঞাপন

জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খোকন সাহা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সবকিছু জানেন।’

জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী রাস্তার উন্নয়নে গাছ কাটছে। সেনাবাহিনী আমাদের যে গাছ দিচ্ছে সেগুলোই আমরা নিচ্ছি। এর বেশি আর কিছু বলার নেই।’

সারাবাংলা/এমও

নারাজ কর্তৃপক্ষ শতবর্ষী গাছ