মোদিতেই আস্থা, কণ্ঠভোটে টিকল না বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব
১০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০২
ঢাকা: বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। কণ্ঠভোটে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ধোপে টিকল না।
এদিন সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে দুই ঘণ্টার বেশি ভাষণ দেন তিনি।
এই ভাষণের পরই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে কণ্ঠভোট দেন স্পিকার ওম বিড়লা। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে কণ্ঠভোট পড়ে বেশি।
অবশ্য আজ আগেভাগেই সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণে বিরোধীদের তুমুল আক্রমণ করেন। সেই সময় পর্যন্তও মণিপুর ইস্যু নিয়ে কোনো কথা না বলায় একাধিকবার ‘মণিপুর, মণিপুর’ ধ্বনি শোনা যায় সংসদে। তারপর বিরোধীদের বড় অংশ ওয়াক আউট করে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন কংগ্রেস সদস্যরা।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পাশাপাশি কংগ্রেস শূন্য লোকসভায় বহরমপুরের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিরোধীরা সংসদে না থাকায় অধীরের বিপক্ষে সাসপেন্ড প্রস্তাব পাস হতে বেশি বেগ পোহাতে হয়নি। কেননা সংসদে উপস্থিত বিরোধীদের সংখ্যা ছিল নামমাত্র।
অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন প্রিভিলেজ কমিটির সিদ্ধান্ত না হওয়া অবধি সাসপেন্ডই থাকবেন অধীর।
মূলত লোকসভায় ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগেই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন অধীর চৌধুরী। নীরব মোদির প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
উল্লেখ্য, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তথা কংগ্রেস সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ ও বিআরএসের সংসদ সদস্য নাগেশ্বরা রাও। তবে সেই অনাস্থা প্রস্তাবের সামনে যে মোদি সরকারের কোনো সমস্যা হবে না, তাও ভালোভাবেই জানতেন বিরোধীরা। তাও কেন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা দেন কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, মণিপুর নিয়ে সংসদে যাতে মোদী মুখ খোলেন, সেজন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন অধীর। এ নিয়ে নিজের আসন ছেড়ে উঠে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তুমুল রেগে যান। অধীরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
বিজেপির সংসদ সদস্যরা দাবি তোলেন, মোদীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অধীরকে। তবে অধীরের মন্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি মোদি। তবে সার্বিকভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপশব্দ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিরোধীদের গালিগালাজ ও অপশব্দ সত্ত্বেও মন খারাপ করিনি। দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে চলেছি।’
সারাবাংলা/একে