Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিএনসিসির ৬ কবরস্থানের তথ্য মিলবে অনলাইনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৪

ঢাকা: এখন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ছয়টি কবরস্থানের সব তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। কোথায় কার কবর, কোথায় ফাঁকা আছে, কোথায় কবর দেবে ইত্যাদি তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকেই দেখা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে। আজকের ডাটা যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে আমরা অনেক বছর পরেও তথ্য জানতে পারব। ডিএনসিসির কবরস্থানের সব তথ্য যুক্ত হলো অনলাইন সেবায়। এর ফলে ডিএনসিসির ডিজিটাল সেবার পরিসর আরও একধাপ এগিয়ে গেল। হাতের মুঠোয় টোটাল ম্যানেজম্যান্ট থাকবে কবরস্থানের।’

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, ‘কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিল, একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানে না। তবে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা অনেক বছর পরেও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল এটা নিয়ে কেউ আর দিশেহারা হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডাটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।’

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তী সময়ে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাব কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজম্যান্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এটির এমন সেবা দিতে চাই যেন নাগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পায়। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবে ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতেই সংরক্ষণ খরচ বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসে, আর সেটা যদি স্থায়ী সংক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। সব এখন হচ্ছে অনলাইনে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিঘ্রই আমরা উদ্বোধন করব। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, Graveyard Management DNCC নামে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। কবরস্থানে না গিয়েও একজন সেবাগ্রহীতা এই অ্যাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে লাশ দাফনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে লাশ নিয়ে নির্দিষ্ট কবরে দাফন করতে পারবেন। এই অ্যাপের ফেস টু (২) তে কবরস্থানে দাফনদের তথ্যভাণ্ডার থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের ওপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। প্রথমে ৬টি স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে থাকছে। কবরস্থান লগুলো হলো: বনানী কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়ের বাজার কবরস্থান, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থান ও উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।

বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বি নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ এবং সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও সিনিয়র ডিরেক্টর শামস এল আরেফিন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

কবরস্থান টপ নিউজ ডিএনসিসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর