‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃষ্টি এডিসের প্রজনন বাড়াতে সাহায্য করেছে’
১০ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫৮
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ ঢাকা ও প্রধান প্রধান শহরের বাইরে ডেঙ্গুর বিস্তার। ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এ পর্যন্ত মারা গেছে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং থেমে থেমে বৃষ্টিও এডিস মশার প্রজনন বাড়াতে সাহায্য করেছে। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সারাদেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণের পূর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে মশা প্রতিরোধে স্বীকৃত বিভিন্ন পদ্ধতি ও নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসা এ পদ্ধতিগুলোই মশক নিধনে কার্যকর। সেদিক থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। তবে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর এবং নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সচেতনতা এবং জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে আমাদের এখানে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তাজুল ইসলাম জানান, ‘সারাদেশে দ্রুত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পৌরসভা মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কারও অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মশা নিধনে কীটনাশক আমদানি উন্মুক্ত করা হয়েছে।’
এ সময় তিনি চলমান মশা নিধন কার্যক্রমে কোনো ঘাটতি অথবা দুর্বলতা থাকলে তা সাংবাদিকদের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ আমাদের সবারই লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি থাকলে তা আপনাদের কাছ থেকে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।’ গণমাধ্যমকর্মীরা মন্ত্রীকে এ সময় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের সচেতনতার মাধ্যমে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা ও স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করার জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সচেতনতাই পারে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে।’
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম