Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আন্দোলন গণঅভ্যূত্থানে রূপ না দিলে পথ হারাবে সবাই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৩ | আপডেট: ৮ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপিকে ইঙ্গিত করে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহামুদর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার পতনের আন্দোলন ধাপে ধাপে গণঅভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আর তা না করে এর বাইরে চলে গেলে পথ হারাবে সবাই।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লবে গণতন্ত্রমঞ্চের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, আমরা ৩১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করছি। এরমধ্যে সংখ্যাআনুপাতিক হারে ভোটের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ দাবি থেকে আমরা সরে যাব না।

তিনি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার ফোর টোয়েন্টি সরকার। জনগণকে মিথ্য তথ্য দিয়ে বিভ্রন্ত করছে। একই সঙ্গে দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।

মান্না বলেন, সরকারের যত বড় বড় মেগা প্রকল্প দেখছেন এসব প্রকল্প নেওয়ার উদ্শ্যেই হচ্ছে বড় ধরনের লুটপাট করা। আজ সরকারের কাছে টাকা নেই, ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। এসব জনগণের টাকা।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর ভারতে ভূপেন হাজারিকা সেতুতে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকার চেয়ে কিছু বেশি। অথচ ভূপেন হাজারিকা সেতুটি পদ্মা সেতুর চেয়ে অনেক বড়।

মান্না আরও বলেন, আমরা সমাজ পরিবর্তন করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তন করতে চাই। জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বিচার বিভাগকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চাই।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার ক্রমাগতভাবে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে এবং দেশ সরকারবিহীন হয়ে পড়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি একটি রাষ্ট্রের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভয়ংকর ও নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা।

বিজ্ঞাপন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করে তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে করতে চাইবে। তাই আমি আজ আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সব বিরোধী দল, দেশবাসী ও জনগণের কাছে বার্তা দিতে চাই– সরকারি কোনও উস্কানিতে আমরা পা দেব না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক মুহূর্তে আছি। কেউ কেউ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেলে তারা বিচারের মুখোমুখি হবেন। এজন্য তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সবকিছু করছেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার নির্বাচনকে দখলে রাখার সবরকম আয়োজন করেছে। গণপ্রতিনিধি আদেশ (আরপিও) করে ইসি নিজের অধীনে এনেছে। আবারও তারা ১৪ ও ১৮-এর মতো নির্বাচন করবেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের কোনও নাগরিক নিরাপদ নয়।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ফ্যাসিবাদ যেভাবে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, সেটা নির্মূল করতে হবে। এ পর্যন্ত যতবার সরকার বদল হয়েছে, তাতে কিন্তু মানুষের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। আজকে ব্যবসায়ীরা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদ কখনও টিকে থাকতে পারেনি। হিটলার, মুসোলিনি, আইয়ুব খান কাউকেই ব্যবসায়ীরা রক্ষা করতে পারেনি। জনগণ আর এই সরকারকে চায় না। তাই তাদের বিরুদ্ধাচারণ করে আপনারা পার পাবেন না। ৩১ দফাকে আমরা গণঅভ্যুত্থানে রূপ দেব।

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘দেশে এখন গণতান্ত্রিক লড়াই চলছে। এখন আমাদের এক দফায় একটা কথা উঠে আসে সরকার ভেঙে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনইউ

আ স ম আব্দুর রব গণতন্ত্র মঞ্চ জুনায়েদ সাকি টপ নিউজ মান্না

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর