মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবি: আরও ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ১
৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪০
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ট্রলার ডুবির দুইদিন পর নিখোঁজ থাকা তুরান (৭) ও মাহির (৫) নামের দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে তুরান ও বিকেল ৫টার দিকে মাহির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার হলো।
তুরান সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নে খিদিরপুর গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে এবং মাহির একই এলাকার রুবেল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় এখনও আরিফ হোসেনের মেয়ে নাভা (৪) নিখোঁজ রয়েছে।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কয়েস আহমেদ বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চলাকালে মাহিরের ভাসমান লাশ দেখতে পাই। দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটার ভাটি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে সুবচনী বাজার এলাকা থেকে তোরানের লাশউদ্ধার করা হয়েছিল। এখনো নাভা নামে এক শিশু নিখোঁজ আছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
গত শনিবার (৫ আগস্ট) সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর থেকে ট্রলারে করে নৌভ্রমণে বের হয় স্থানীয় ৪৬ জন। পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকা ঘুরে ফেরার সময় রাত ৮টার দিকে পদ্মার শাখা নদীর লৌহজং উপজেলার রসকাটি এলাকায় পৌঁছালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনার পর রাতেই সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন-সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এপি বেগম (২৮) ও তার দুই ছেলে সাকিবুল (১০) এবং সাজিবুল (৭)। একই এলাকার ফিরোজ সরকারের ছেলে ফারিয়ান (৮), শাহাদাত হোসেনের পাঁচ মাসের মেয়ে হুমায়রা, শাহজাহানের স্ত্রী মোকসেদা বেগম (৩৮) ও আব্দুল হাকিমের মেয়ে পপি (৩০)। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাল্কহেডটি জব্দ করে।
এ ঘটনায় বাল্কহেড মালিক, চালক ও হেলপার, সিরাজদিখান থানা যুবলীগ আহ্বায়ক সদস্য জাহিদ শিকদারকে ২ নম্বর ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ পারভেজ চোকদার পাপ্পুলে ৩ নম্বর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ