‘আসামি’ ছেড়ে দিয়ে বাদীকে হেনস্তা, ২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪১ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (০৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগম এ আদেশ দিয়েছেন বলে ওই আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশ গুপ্ত জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, নগরীর বাকলিয়া থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম ও এএসআই মোশাররফ হোসেন। একই মামলায় নগরীর বাকলিয়া থানার দেওয়ান বাজার মদিনা মসজিদ বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুখী বেগম ও রেজাউল নামে আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশ গুপ্ত সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ২ আগস্ট নগরীর বাকলিয়া থানার মিয়া খান রোডের বাসিন্দা ইয়াছিন আরাফাত বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। সোমবার আদেশ দেয়া হয়েছে।
‘আদেশে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছেন। তদন্তে উপাদান পেলে সরাসরি মামলার এজাহার হিসেবে অভিযোগ রেকর্ডের আদেশ দিয়েছেন। ১১ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, সুখী মিয়া ও রেজাউল বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। গত ১৭ জুলাই বাদী ইয়াছিন আরাফাতসহ এলাকার লোকজন গিয়ে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য বলেন। এরপর ইয়াছিন আরাফাত বিষয়টি বাকলিয়া থানার এসআই মোশাররফকে অবহিত করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়েছে, এসআই মোশাররফ ও এএসআই রবিউল অভিযান চালিয়ে হীরন নামে একজনকে গ্রেফতার করলেও থানায় নিয়ে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। ইয়াছিন আরাফাত কেন অভিযোগ করেছেন, এ নিয়ে পরদিন থেকে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি শুরু করে পুলিশ। মামলার আসামি করে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তাদের হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে বাদী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ