শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ, চবি ৩ দিন বন্ধ ঘোষণা
৭ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: টানা বৃষ্টিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা তিনদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গামী দুটি শাটল ট্রেন আটকে যাওয়ার পর চট্টগ্রামন-নাজিরহাট রুট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন যথারীতি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। কিন্তু প্রথমটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ও দ্বিতীয় ট্রেন ষোলশহর স্টেশনে আটকে যায়। সকাল ৯টার মধ্যে ট্রেনগুলোকে স্টেশনে ফেরত নিয়ে নাজিরহাট রুটে রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাজিরহাট রুটের কয়েকটি স্থানে রেললাইন ডুবে গেছে। শাটল ট্রেনগুলো যথাসময়ে ছাড়ার পরও যেতে পারেনি। পানির কারণে এই রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শাটল, ডেমুসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় সোমবার পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। তবে কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস হয়েছে বলে জানা গেছে।
এরপর বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রবল বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা ৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় চবি অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অতি ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন, এ এফ রহমান হল, জীব বিজ্ঞান অনুষদসহ কয়েকটি স্থানে পানি জমে আছে গত তিনদিন ধরে।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় ও শাহী কলোনির পাশে দুটি স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। শাহী কলোনিতে গাছ পড়ে একটি বসতঘর ভেঙে গেছে। ঘরের দেয়াল পড়ে আহত হয়েছেন মো.হানিফ নামে জীববিজ্ঞান অনুষদের একজন কর্মচারী।
এছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ একাধিক জায়গায় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ভেতর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘ভোররাতে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে একজনের মাথা ফেটে গেছে। তাদের আগেও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে গেছে। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় শাটল ট্রেন চলাচল করতে পারছে না।’
সারাবাংলা/আরডি/ইআ