‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা চলবে’
৭ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৭ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৪৮
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে সরকার নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিলেও বর্তমান আইনে চলমান মামলাগুলো বাতিল হবে না। মামলাগুলোর বিচার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ অনুযায়ী চলবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, যখন কোনো আইন বাতিল বা পরিবর্তন করা হয় সেখানে একটা সেভিং ক্লজ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, যে মামলাগুলো চলমান আছে সেই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে এই আইনটা বিলুপ্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত যত আইন বাতিল বা পরিবর্তন করা হয়েছে সবগুলোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা হয়েছে। আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে তিনি ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনে নতুন খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
পরে এ বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে। আইনটি এখন ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নতুন এই সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট তথা সাইবার নিরাপত্তা আইন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন। আইনটিকে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও অক্ষত রাখা হয়েছে। সেসব ধারায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক অপরাধই ছিল জামিন-অযোগ্য। সেসব অপরাধকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। আবার মানহানির অপরাধের যে ধারায় সাজা ছিল কারাদণ্ড, সেটি বদলে সাজা কেবল জরিমানা করা হয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অনেক অপরাধের ক্ষেত্রেই দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে প্রথম অপরাধের সাজার চেয়ে দ্বিগুণ বা অনেক বেশি সাজার বিধান ছিল। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সেরকম কিছু থাকছে না। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলেও সাজা প্রথম অপরাধের মতো একই থাকবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। নতুন আইনে সেখানে পরিবর্তন এনে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান করা হবে।
দেশে-বিদেশে সমালোচনা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে সরকার।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ