Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মির এখন ভয়ের রাজ্য’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৬

ঢাকা: ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করায় কাশ্মির এখন ভয়ের রাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছে নাগরিক ফোরাম নামের একটি সংগঠন। একইসঙ্গে রাজ্যটিতে নাগরিকদের ওপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘মৌলিক অধিকার: মানবিক কর্তব্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান। নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ। নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দেন নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান।

সভায় বক্তারা বলেন, কাশ্মীরের জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন আজকে কারও চোখে পড়ে না, এতে যেন কারও দায় নেই। কারণ এতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করি না। যেকোনো স্থানে যে কেউ নির্যাতিত হলে আমরা নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বলবই। আমরা মজলুমের পাশে দাঁড়াবই। নির্যাতিত ব্যক্তি যে ধর্মেরই হোক না কেন আমরা তাদের পাশে থাকব। একজন হিন্দু নির্যাতিত হলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব, তেমনি একজন মুসলমান নির্যাতিত হলে আমাদের দায়িত্ব হবে তাদের পাশে দাঁড়ানো।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরকে যে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত এলাকার মর্যাদা দিয়েছিল ৩৭০ ধারা তা বাতিল করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। যা ১৯৪৭ সাল থেকে গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এটি একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাজ্য, যা ভারতের সঙ্গে রয়েছে। এই ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ যোগ হয়েছিল ভারত ও কাশ্মীরের নেতাদের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে। দুটি ধারাই বাতিল করে দেওয়া হয়। ৩৫ এ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মিরে যেকেউ এখন জমি-বাড়ি কিনতে পারে ভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে। অথচ জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেওয়া ছিল, যা বিশেষ ৩৭০ ধারা অনুযায়ী। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নির্বাচনী ওয়াদা ছিল এটা বাতিল করা। কাশ্মীরের বাইরের মানুষকে সেখানকার জমি কেনার বৈধতা প্রদান করে বিজেপি আসলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের জনতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বদলাতে চায়। এর মানে হচ্ছে মুসলিমদের সংখ্যা কমিয়ে আনা ও অন্য ধর্মের মানুষেদের সুবিধা দিয়ে তাদের সংখ্যা বাড়ানো।

আলোচনা সভায় বক্তারা কাশ্মীরের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও তাদের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান।

নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক কামাল মজুমদার, বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান মিহির, দৈনিক ভোরের খবরের প্রধান সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া ও প্রকৌশলী শরীফুজ্জামান প্রমুখ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

৩৭০ ধারা কাশ্মি টপ নিউজ নাগরিক ফোরাম ভারত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর