Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৫ হাজার টাকা ঋণে কোমরে দড়ি, বড় ঋণখেলাপিদের ধরা হয় না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৫

ঢাকা: মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কৃষকের কোমরে দড়ি পড়ে, অথচ বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না। শত শত কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ আটকে রাখতে নিয়োগ করা হয় বড় বড় আইনজীবী।

আপিল বিভাগে শুনানিকালে লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত এ সব কথা বলেন। শুনানি নিয়ে লিভ টু আপিলটি খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩১ জুলাই) ‘মো. মাসুদুর রহমান বনাম অর্থঋণ আদালত এবং অন্যান্য’ শিরোনামে এক লিভ টু আপিলের শুনানিতে আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগে এ শুনানি হয়।

আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ আহমেদ।

আইনজীবীরা জানান, ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোং ১৯৯৬-৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিস থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ২০১৭ সালে ফজলুর রহমান মারা যান। ওই ঋণ আদায়ে ২০১৭ সালে অর্থঋণ আদালতে ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে ১০২ কোটি টাকা ডিক্রি পায় সোনালী ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর তথ্যমতে, পরবর্তী সময়ে ব্যাংকের করা জারি মোকদ্দমায় ফজলুর রহমানের সন্তানদের ছয় মাসের সিভিল জেল হয়। তখন ব্যাংকের পাওনার দাবির পরিমাণ ছিল ১১৫ কোটি টাকা।

পরে সিভিল জেলের আদেশের বৈধতা নিয়ে তারা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল দিয়ে সিভিল জেলের আদেশ স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে রুল শুনানির জন্য উঠলে হাইকোর্ট গত ২২ মে ফজলুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সহায়-সম্পত্তির বিবরণ দাখিলসহ নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

সহায়-সম্পত্তির বিবরণ দাখিলসহ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদুর রহমান।

লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম জানান, ‘আইনে ঋণগ্রহীতার অবর্তমানে তার পরিবারের সদস্যদের সিভিল জেল দেওয়ার সুযোগ নেই। মূলত, এটি নিয়েই মূল মামলা। মূল বিষয়বস্তু রেখে হাইকোর্ট ঋণগ্রহীতার পরিবারের চার সদস্যের সহায়-সম্পত্তির বিবরণ দাখিল করাসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়। আপিল বিভাগ আজ লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।

তবে মূল মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

আদালত টপ নিউজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর