দুই দিনের পদযাত্রায় আহত ৪ হাজার, নিহত ১: রিজভী
২১ জুলাই ২০২৩ ২০:২১
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপির প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মী আহত ও ১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী বলেন, ‘১৮ ও ১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রায় ৪ হাজার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন একজন। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া গত ১৯ মে থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে মোট মামলা হয়েছে ৩১৫টি। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ জন।’
তিনি জানান, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গত ১৯ জুলাই বিএনপি নেতাকমীর্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঠা নিয়ে ৯নং নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. সেলিম উদ্দিন, ফজলুল হক, নুরুজ্জামান, ছাত্রদল নেতা জুবায়ের ইসলাম জিসান, যুবদল নেতা আফসার উদ্দিন, শাহ আলম ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফজলুলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
দিনাজপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় যোগ দিতে আসার পথে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আসিফ ইকবাল, মৎস্যজীবী দল নেতা সনু, স্বদেশ ও শাহিন, পঞ্চগড় জেলা মৎস্যজীবী দল নেতা রেজাউল করিম, ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্যজীবী দল নেতা সুজন ও কামাল, লালমনিরহাট জেলা মৎস্যজীবী দল নেতা নজরুল ও রবিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ইমান উল্লাহ, আলতাফ মেম্বার, গাজী মো. বিল্লাল, মো. সেলিম, মো. ডালিম, আব্দুল ওয়াদুদ, মো. আলম, আশকর আলী ও মো. ফিরোজ মিয়াসহ ২১ নেতাকর্মীর জামিন না— মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।’
রিজভী বলেন, ‘জয়পুরহাট জেলায় ১৮ জুলাইয়ের পদযাত্রায় সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা ও গুলিতে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। মামলা দেওয়া হয় ২টি। এসব মামলায় ১৯৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১ হাজার।’
তিনি বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা প্রধান, যুবদলের জেলা আহ্বায়ক এটিএম শাহ নেওয়াজ কবির শুভ্র, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল প্রধান, সদস্য সচিব মুক্তাদুল হক আদনান, ছাত্রদল জেলা সভাপতি মামুনুর রশীদ প্রধান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামস মতিন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা ডিউক এবং সদস্য সচিব কাজী মঞ্জুরে মাওলা পলাশসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী রয়েছেন।’
সারাবাংলা/এজেড/এনএস