প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্ট-২’র উদ্বোধন

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ, ছবি: বাসাস

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী সেপ্টেম্বরে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরের সময় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২’র উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৬৫-কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিঙ্ক, আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্কের উদ্বোধন করবেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) গণভবনে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ ঘোষণা দেন। বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি আরও বলেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২, ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিঙ্ক ভারতীয় এলওসি’র (লাইন অফ ক্রেডিট) অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় অনুদানে আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত তাদের গ্রিডের মাধ্যমে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেবে।

বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টাকা-রুপির বিনিময় ব্যবস্থা, সংযোগ, ভারতীয় এলওসি-এর অধীনে চলমান প্রকল্প এবং অনুদান ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ইহসানুল করিম।

তিনি আরও বলেন, টাকা-রুপি বিনিময় ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড। উভয় পক্ষই এই কার্ডগুলো ইস্যু করবে। যাতে দুই দেশের মানুষ তাদের অর্থপ্রদানের জন্য কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন কাজে ভারতে যান এবং তারা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘তারা খুবই ইতিবাচক সাড়া তৈরি করেছে।’

শেখ হাসিনা দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারত বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জন্য আওয়াজ তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা