Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের কড়া বার্তা মাউশি’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুলাই ২০২৩ ২০:৫৪ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৮

ঢাকা: জাতীয়করণের দাবিতে ৮ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সারা দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসেও তারা ক্লাসে ফিরে যচ্ছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের ব্যাপারে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

কোন প্রতিষ্ঠানে কতজন শিক্ষক অনুপস্থিত আছেন তা তদারকি করতে মাউশির পক্ষ থেকে স্কুলের গভর্নিং বডি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে ৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়। যদিও চিঠিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যাপারে স্পষ্ট করে নির্দেশনা দেওয়া না হলেও যারা ক্লাসরুমে অনুপস্থিত থাকছেন তাদের বিষয়ে তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্য ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সকলের কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে শিক্ষকের এবং তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে- কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া এর আগে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাসসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রতিপালনে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-

১. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে

২. শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন

৩. কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা

৪. সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা

৫. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা

এ সব নির্দেশনা পালনে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ১১ জুলাই থেকে টানা আট দিন ধরে আন্দোলন চলমান রেখেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা। আজ সকাল থেকেও প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। সকাল ৮টা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষকরা। সকাল ১০টার মধ্যে পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড়গামী রাস্তা অবরোধ করেন তারা। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় প্রেস ক্লাবের অপরপ্রান্তের সড়ক। এরপর ওই সড়কও বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে আন্দোলনে সরব রয়েছেন শিক্ষকরা। সারাদেশ থেকে এসে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিদিন এ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

জাতীয়করণ টপ নিউজ মাউশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর