পাহাড় কেটে ফেলা ১৫ স্পট চিহ্নিত, মামলার নির্দেশ
৯ জুলাই ২০২৩ ২০:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’সলেক সংলগ্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার ১৫টি স্পট চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। এ সব পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদফতরকে। এ ছাড়া সাড়ে তিন’শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় তিন একর সরকারি পাহাড়ি খাসজমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফয়’সলেক সংলগ্ন আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরা হলেন মো. তৌহিদুল ইসলাম, মো. ওমর ফারুক, মো. মাসুদ রানা এবং জামিউল হিকমাহ। অভিযানে পরিবেশ অধিদফতর, পিডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও ছিলেন।
রোববারের অভিযানে প্রায় পাঁচ একর পাহাড় থেকে সাড়ে তিনশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৮৮ একর সরকারি খাসজমি।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার একই এলাকার প্রায় ১১ একর পাহাড় থেকে সাড়ে পাঁচ’শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুইদিনের অভিযানে আমরা ১৫টি হটস্পট পেয়েছি। এ সব স্পটে নির্বিচারে পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্ন এনজিও এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান পাহাড়ে ঘরবাড়ি বানানোর জন্য দরিদ্র লোকজনকে ঋণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এমনকি সেখানে পাহাড় কেটে ড্রেন, টয়লেট, রাস্তা, অনুমোদনহীন স্কুল-মাদরাসাও গড়ে তোলা হয়েছে।’
‘সরকারি খতিয়ান দেখে মালিকানা শনাক্ত করে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা পাহাড় কেটেছে এবং যারা পাহাড় কাটায় ইন্ধন দিয়েছে সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে’— বলেন এনডিসি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি, আকবর শাহ, খুলশী থানা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকাসহ চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
সারাবাংলা/আরডি/একে