Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গত অর্থবছরে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব ঘাটতি ১৮১ কোটি টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ জুলাই ২০২৩ ১৫:১৫

হিলি স্থলবন্দর, ছবি: সারাবাংলা

দিনাজপুর: দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলি। রাস্তাঘাট সংকীর্ণ, এলসি জটিলতা, বৈশ্বিক মন্দাসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর ধরেই রাজস্ব ঘাটতি থাকছে হিলি কাস্টমসের। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরেও (২০২২-২৩) ১৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি এই শুল্ক স্টেশনের। বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ হয়নি বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

হিলি শুল্ক স্টেশন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় খানিকটা বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে অর্থ বছরের শুরুর দিক থেকেই রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয় কাস্টমসে। অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও রাজস্ব আদায় হয় ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৯ কোটি ছয় লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মার্চে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এপ্রিলে ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ও মে মাসে ৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এছাড়াও অর্থবছরের শেষ মাসেও ঘাটতি দেখা দেয় হিলি কাস্টমসের। ৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আদায় হয় ৪২ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ না হওয়ার একমাত্র কারণ অধিক শুল্কযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হতো, সেসব পণ্যের আমদানির পরিমাণ কমেছে।’

আগের তুলনায় বন্দর দিয়ে মশলাজাতীয় পণ্য আমদানি কমেছে বলেও জানান বায়জিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জিরা আমদানি কমেছে। এলাচের আমদানি অনেক কম। পাথর আমদানি নেই বললেই চলে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এছাড়া চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করায় রাজস্ব আয় কমেছে। ফলে এনবিআর নির্ধারিত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তবে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে চলতি মাসে রাজস্ব আহরণ কিছুটা বাড়বে। তবে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।’

সারাবাংলা/এসআর/এনএস

টপ নিউজ হিলি কাস্টমস হিলি স্থলবন্দর

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর