তারা ‘সিজনাল’ কসাই
২৯ জুন ২০২৩ ১৪:০২ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৭:৩৪
ঢাকা: কোরবানির ঈদ মানে পশু জবাই, মাংস কাটাকাটি। গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই মিলে পশুর মাংস কাটাকাটি করা হলেও শহরাঞ্চলে নির্ভর করতে হয় এ কাজে পারদর্শী কারও ওপর। তবে সবসময়ই যে পারদর্শী অভিজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া যাবে তা না। তাই কোরবানির ঈদের সময় নগরে দেখা যায় সিজনাল কসাইদের।
শাহজাদপুর এলাকার একটি বাড়িতে গরু ও খাসির মাংস কাটাকাটি করছিলেন তিন জন। তাদের এখানে পাঠিয়েছেন শাহজাদপুর বাজারের একজন কসাই। এভাবে একজন প্রধান কসাইয়ের আন্ডারে দশটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন তারা। পশুর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে প্রতি দলে তিন থেকে ছয় জন মিলে কাজ করছেন।
বিভিন্ন পেশার মানুষ কোরবানির ঈদের সময় কিছু বাড়তি আয়ের আশায় বনে যান ‘সিজনাল’ কসাই।
আনাড়ি হাতে গরুর সিনার মাংস কাটতে কাটতে পেশায় রাজমিস্ত্রী রুবেল জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে কোরবানির ঈদের সময় কাজটি করেন। মাংস কাটার আনন্দের পাশাপাশি বাড়তি কিছু টাকাও উপার্জন হয়।
জামালের মূল পেশা সিরামিকসের কাজ। কোরবানির ঈদের সময় বেশ কয়েক বছর ধরে কসাইয়ের কাজটি করছেন তিনি। এতে দিনে ৫/৬ হাজার টাকা আয় হয়।
খাসির চামড়া ছড়াতে ছড়াতে পেশায় ড্রাইভার মুসাও (ছদ্মনাম) জানালেন বাড়তি উপার্জন ও ঈদের আনন্দ উপভোগের কথা। তবে তিনি পরিবারকে জানাতে চান না কাজটির কথা।
ঢাকায় হকারি করেন সাইদুল। পাঁচ/ছয় বছর ধরে বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য কোরবানির মাংস কাটাকাটি করেন। এতে চার/পাঁচ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।
কোরবানির ঈদের আনন্দই পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটিকে ঘিরে। এই মাংসই তিন ভাগ করে একভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ও আরেক ভাগ গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিলানো হয়। যাদের সামর্থ্য নাই নিজে কোরবানি দিয়ে এই মাংস কাটাকাটি ও ভাগাভাগিতে সামিল হওয়ার, সিজনাল কসাই হয়ে তারাও সামিল হন ঈদুল আজহার আনন্দে। সঙ্গে মেলে কিছু বাড়তি উপার্জন।
স্থানীয় বাজারভিত্তিক কসাই ছাড়াও বর্তমানে অনলাইনেও সিজনাল কসাই সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। পেশাদার কসাইরা চুক্তিভিত্তিক পারিশ্রমিক নিলেও অনলাইন সার্ভিসের ক্ষেত্রে রয়েছে ধরাবাঁধা রেট। প্রতি হাজারে (কোরবানির পশুর মূল্যের ওপর) সিজনাল, সেমিপ্রো এবং এক্সপার্ট সেবা পাওয়া যায়।
সারাবাংলা/আরএফ/এমও