সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রচুর গাড়ির চাপ

ছবি: সারাবাংলা

সিরাজগঞ্জ: ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছেন সাধারণ মানুষ। এ কারণে বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে। চাপ সামাল দিতে ও যানজট ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতেই গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢোকা মাত্রই গাড়িগুলোকে দ্রুত পার করে দিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।

একই কাজ করা হচ্ছে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকাতেও। যানজট রোধে কোনো যানবাহনকে এলোমেলো ঢুকতে বা দাঁড়াতে দিচ্ছে না হাইওয়ে পুলিশ। তবে ব্যাপক চাপ থাকলেও উত্তরবঙ্গ যেতে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে যানজট আতঙ্ক থাকা ৪৫ কিলোমিটারে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট তৈরি হয়নি।

বুধবার হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর ও সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক প্রশাসন সালেকুজ্জামান খান সালেক এসব তথ্য জানান।

এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গত রোববার (২৫ জুন) ভোর ৬টা থেকে প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা মোতায়েন থাকবে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত। সিরাজগঞ্জের যানজট হওয়ার শঙ্কায় থাকা ৪৫ কিমি মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত হয়েছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবীর বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। মহাসড়কে যানবাহনগুলো যেন যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রেখে কাজ করা হচ্ছে। যানবাহনগুলো যেন যেকোনো স্থানে দাঁড়াতে না পারে এবং এলোমেলোভাবে না ঢুকতে পারে সেটা দেখা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তৎপর রয়েছি।’

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ‘সারারাত মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এখনো সেই চাপ অব্যাহত আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। সেতুর ওপার থেকে যানবাহনগুলো আসা মাত্রই সেগুলোকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেন তারা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে। প্রচুর গাড়ির চাপ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও উত্তরাঞ্চলের পথে কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের গত ঈদের মতো এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে বলে আশা করছি। এছাড়া যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭-১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫-৪৫ হাজারে। এই সময়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে গত ঈদুল ফিতরে তেমন কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি এই মহাসড়কে। এই ভোগান্তি এড়াতে এবার ঈদযাত্রায় নলকা আন্ডারপাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/আরএ/এনএস

টপ নিউজ ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক