সরকারি চাকরিজীবীদের প্রণোদনা ১০% হলে ভালো হতো: পরিকল্পনামন্ত্রী
২৬ জুন ২০২৩ ১৮:০২ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৮:১৮
ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের হিসাবে বিশেষ প্রণোদনা ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ হলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন এম এ মান্নান। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে এই বাড়তি প্রণোদনার পক্ষে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সোমবার (২৬ জুন) শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান ২০২৩ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। আর এসব দৃশ্যমান উন্নয়নের পেছনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। এটি খুব ভালো লাগে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জনগণের কাছে তেমন পরিচিত না। তবে এখন মানুষ পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জানে। আগে মানুষের চিন্তাভাবনা ছিলো আধ্যাত্মিক। এখন মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে শিখছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। এটি ভালো দিক। দেশের উন্নয়নে সবাইকে দল হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ যেন বাঙালির হাতে থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘মূল্যাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি মূল্যাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ১০ শতাংশ করলে ভালো হতো।’
অনুষ্ঠানে পরিকল্পানা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেনসহ তিনজন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। শুদ্ধাচার চর্চার কারণে তাদের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলের কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও কর্মকর্তারা।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের দায়িত্বের পরিধি বেড়ে গেল। এটি প্রমাণ করতে হবে তাদের নির্বাচন সঠিক ছিল। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন। শুদ্ধাচারের অভিজ্ঞতা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে কাজে আরও গতি আসবে।’
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য দুই কর্মকর্তারা হলেন শিল্প শক্তি বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা ববি এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক মালা খাতুন।
এর আগে, রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/জেজে/একে