Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রস্তুতি শেষ, ক্রেতার অপেক্ষায় গাবতলী পশুর হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ জুন ২০২৩ ১৭:২৩ | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩ ১৭:৫৫

ঢাকা: মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু কেনাবেচার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে গাবতলী পশুরহাট কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুতি শেষ হওয়ায় ওই হাটে এখন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন হাটের ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৩ জুন) গাবতলী বাসটার্মিনাল সংলগ্ন গবাদী পশুর হাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এ বছর মূল হাটের বাইরেও তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের ছাউনি। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী কোরবানির এ হাট। পুরো হাটে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ছাড়া তীব্র গরমে গরুর শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এক হাজার সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এরইমধ্যে পুলিশ, র‌্যাব ও ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

তদারকির জন্য পুলিশ ও র‌্যাবের জন্যও ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। ইজারাদারদের পক্ষ থেকে হাটে পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।

এদিন রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট হিসেবে খ্যাত গাবতলী গবাদী পশুর হাটে দেশি-বিদেশি গরু ছাগলের পাশাপাশি দুম্বাও দেখা গেছে। তবে ব্যাপারীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি থাকলেও এখনও জমেনি হাট। ক্রেতা সমাগম এখনও সেভাবে আসা শুরু হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কোরবানির জন্য কেনাবেচা সেভাবে হচ্ছে না।

হাট ইজারাদাররা বলছেন, কোরবানির পশুর হাটে আসা শুরু হয়েছে। যদিও ২৫ জুন থেকে হাট পুরোপুরি শুরু হবে। কিন্তু এখনি আমাদের হাটে কোরবানির জন্য প্রচুর গরু-ছাগল এসেছে। তা ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এদিন হাটে বৈদ্যুতিক পাখা বসাতে দেখা যায় কয়েকজনকে। সেখানে মোহাম্মদ মাসুম নামের এক বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গরুর শরীর ঠাণ্ডা রাখতে হাটে এক হাজার ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও সব ফ্যান লাগানো এখনও শেষ হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

পশুর হাটের মাঝামাঝি জায়গায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে দুটি ষাড় নিয়ে এসেছেন চার কৃষক। তিনি মিশ্র জাতের প্রায় ২০ মণ ওজনের একটি গরুর দাম চাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। আর কালো রঙের দেশি জাতের অপরটির আকার একটু ছোট হওয়ায় সেটির দাম চাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা। চার জনের মধ্যে ষাড়ের শরীরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিজেদের সন্তানের মতো গরুগুলো যত্ন করে বড় করেছি। আর এজন্য বড় ষাড়টির নাম রেখেছি সোনামনি-১, এবং ছোটটির নাম রেখেছি সোনামনি-২। লোকজন গরু দেখতে আসছে। তবে গরু কিনতে এসেছে এমন ক্রেতা এখনো আসেনি।’

ছাগলের হাটে সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যাপারির সঙ্গে কথা হয়। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখনও বেচাকেনা শুরু হয়নি। মাঝে মধ্যে লোক জন এসে দরদাম করে চলে যাচ্ছে। আশা করি দুএকদিনের মধ্যে হাটে ক্রেতা সমাগম বাড়বে।’

গাবতলী পশুর হাটের ফিরোজ মিয়া নামে এক ইজারাদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোরবানির ঈদ কেন্দ্রিক হাটের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। হাটে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। এটি ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আমাদের দিক থেকে শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এবার ক্রেতা-বিক্রেতারা অন্যান্য বছরের চেয়ে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে বেচাকেনা করতে পারবেন। এ ছাড়া হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের টয়লেট এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাসিল ঘরে মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

হাটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন পরিদর্শক কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গাবতলীর কোরবানির পশুর হাটে এখন ১২০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ সংখ্যা পরে আরও বাড়বে। পশুর হাটে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

কোরবানির হাট গরুর হাট গাবতলী হাট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর