Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ আর থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ জুন ২০২৩ ১২:২৫ | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৩:৪১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হয়েছে। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়েছি, জনগণ ইচ্ছা করলে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে পারে। তাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ আর থামাতে পারবে না।

বুধবার (২১ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্টগার্ড জেটিতে পাঁচটি জাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পতেঙ্গায় কোস্টগার্ডের জেটিতে কমিশনিং করা পাঁচটি জাহাজের নাম ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’, ‘বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা’, ‘বিসিজিটি প্রত্যয়’, ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং ‘বিসিজিএফসি শক্তি’। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত নতুন পাঁচটি জাহাজ যুক্ত হল বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বহরে। এই পাঁচটি জাহাজের দুটি ইনসোর পেট্রোল ভেসেল, দুটি টাগবোট আর একটি ফ্লোটিং ক্রেন।

কোস্টগার্ডকে আধুনিক যুগোপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার সরকার সকল ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোস্টগার্ড বহরে নতুন যোগ হতে যাওয়া পাঁচটি নৌযানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এর মাধ্যমে বর্হিনোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজের চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় টহল প্রদান এবং যেকোন প্রাকৃতিক দুযোগ দুর্ঘটনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে ধারাবাবিহকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারে আছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এবং সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করার ফলে আজকে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নতি করে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তার সরকারের টানা মেয়াদে নানামুখী আর্থসামাজিক অগ্রগতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি এবং আমাদের জনগোষ্টীকে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়েছি। রাস্তাঘাট পুল ব্রীজ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা বৃদ্ধি করে নদীগুলোকে আরও উপযুক্তভাবে ব্যবহার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সবথেকে বড় কথা হলো, বাংলাদেশ পারে। ৭ই মার্চ, ১৯৭১ সাল; সেখানে জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হয়েছে। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজন্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে এটা দেখিয়েছি, বাংলাদেশের জনগণ ইচ্ছা করলে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে, উন্নত করতে পারে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে যোগাযোগের সুবিধা হয়েছে। পণ্য পরিবহরের সুবিধা হয়েছে।’

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ আর থামাতে পারবে না বলেও যোগ করেন তিনি।

কোস্টগার্ডের সদস্যদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এই কোস্টগার্ডের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানান এবং এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহায়তা সরকার করে যাওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৪ সালে ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কয়েকটি লাইন তুলে ধরেন।

জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তিকামী জাতি। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু আত্মরক্ষা করার মত ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে। আমরা বিশ্বাস করি দুনিয়ার শান্তিতে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তিতেই বিশ্বাস করি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি। কাজেই এইকথাগুলি মনে রাখতে হবে। আর সেই সঙ্গে আমরা গত সাড়ে ১৪ বছরে সকল প্রতিকূল অবস্থা মনুষ্যসৃষ্ট দুযোগ অথবা প্রাকৃতিক দুযোগ; সব মোকাবিলা করে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রা ইনশাল্লাহ অব্যাহত থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা বাস্তবায়ন করব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কমিশনিং হওয়া পাঁচটি নৌযানের ওপর একটি তথ্য-চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী জাহাজগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেনদের হাতে ‘কমিশনিং ফরমান’ তুলে দেন।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা আজ
১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১০

আরো

সম্পর্কিত খবর