সরকারি হাসপাতালের ‘ব্যবস্থাপত্রে’ অনিবন্ধিত ওষুধ
১৯ জুন ২০২৩ ১৯:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আগ্রাবাদের কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (আমেরিকান হাসপাতাল) অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
প্রতীক দত্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে হাসপাতাল গেটের সামনের মা ফার্মেসি, মা মেডিকেয়ার এবং স্বাগতা ফার্মেসি থেকে চীন, ভারত সহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ছয় লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়।’
‘এ সময় ফার্মেসি মালিকরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাই এ সব অনিবন্ধিত ঔষধ প্রেসক্রিপশন করছেন।’
‘ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা কয়েককজন রোগী অভিযোগ করেন ডাক্তাররা এমন ওষুধ লেখেন যা এখানে অবস্থিত ফার্মেসি ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। এসময় রোগীদের প্রেসক্রিপশন চেক করে দেখলে সেখানে সরকারি হাসপাতালের স্লিপে বিভিন্ন অনিবন্ধিত ঔষধ প্রেসক্রিপশন করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি বিদেশি ক্রিমের দাম এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি ক্রিমে ডাক্তার ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পান বলে এক ফার্মেসি মালিক জানিয়েছেন। এছাড়া এই হাসপাতালের রোগীদের ‘মেডিলিভ’ নামের একটি ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য বলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের সামনেই দালালরা দাঁড়িয়ে থাকে।’
‘সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে একটু বিব্রতকর হয়েছি। পরে আমি স্বাস্থ্য পরিচালককে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ‘এই ওষুধগুলো ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন নিবন্ধিত নয়। এগুলো কোনো ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না এবং কোনো ডাক্তার এগুলো প্রেসক্রিপশন করতে পারবে না। কিন্তু এই সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা কেন এগুলো প্রেসক্রিপশন করছেন সেটি আমি বলতে পারব না।’
সারাবাংলা/আইসি/একে