সিন্দুকে ছিল সাড়ে ৭ কেজি হেরোইন, স্বর্ণালংকার ও ২৪ লাখ টাকা!
১৯ জুন ২০২৩ ১৬:০৪
রাজশাহী: বসতবাড়িতে সিন্দুকে রাখা হয়েছিল সাড়ে ৭ কেজি হেরোইন, ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার ও ২৪ লাখ টাকা। পুলিশ সেই হেরোইন, সোনা ও টাকা জব্দ করেছে। এ সময় এক মাদককারবারিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার আচুয়া কসাইপাড়া গ্রাম থেকে এ সব জব্দ করা হয়। আর গ্রেফতার মাদককারবারির নাম জিয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার আচুয়া কসাইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এই উপজেলা থেকে হেরোইনের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায়। পুলিশের দাবি, এত বড় হেরোইনের চালান এই প্রথম ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এ সব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের আচুয়া কসাইপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে থাকা সুরক্ষিত স্টিলের তৈরি একটি সিন্দুক পাওয়া যায়। সিন্দুকের চাবির জন্য অনুরোধ করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে এসে সেটি ভাঙা হয়।’
এবিএম মাসুদ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে সিন্দুক ভেঙে তার ভেতর থেকে বাকি সাত কেজি হেরোইন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে জিয়ারুল জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করেন। সীমান্ত থেকে হেরোইন এনে বাড়িতে মজুদ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন জিয়ারুল। এ ব্যবসা করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। নিজের মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ, সোনা ও হেরোইনের নিরাপদ হেফাজতের জন্য বছর তিনেক আগে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এই সিন্দুক তৈরি করেন তিনি।
সারাবাংলা/এমই/পিটিএম