Saturday 18 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানা চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুন ২০২৩ ১৫:২১

ঢাকা: দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম ও ঠিকানা আদালতে দাখিল করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কনফারেন্স অব ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বে মাদক পাচার থেকে যে পরিমাণ টাকা পাচার হয়, এর মধ্যে এশিয়ার সবোর্চ্চ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এবং বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে পঞ্চম। এই টাকার পরিমাণ হচ্ছে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার। এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে অর্থ পাচার সংক্রান্ত এক মামলা, যা ২০২১ সালে থেকে বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলার সঙ্গে সম্পূরক একটি আবেদন করি এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য।

আজ শুনানি শেষে আদালত, মাদক ব্যবসা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে দুদক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে (বিজি) এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবসার মাধ্যমে যারা টাকা পাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এবং এ বিষয়ে তদন্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ১৩ জুন মাদক কারবারের জেরে দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।

বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাচারের মাধ্যমে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে, সুইস ব্যাংকে গোপনে জমা রাখা বিপুল অর্থ উদ্ধারে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সুবীর নন্দী দাস ও আবদুল কাইয়ুম একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

এদিকে ‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে ১১ জুন প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। কাছাকাছি সময়ে আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে আসা এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

টপ নিউজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর