যুক্তরাষ্ট্র-চীন সামরিক সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে: হেনরি কিসিঞ্জার
১৬ জুন ২০২৩ ১৮:৪৪ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ২০:৪৬
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাদের বর্তমান নীতি অনুসরণ করতে থাকলে প্রকাশ্যে সামরিক সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী দিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের সঙ্গে কথোপকথনে হেনরি কিসিঞ্জারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, চীন অদূর ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে মেইনল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করবে কিনা। তবে এই প্রশ্নের কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেননি কিসিঞ্জার। বরং তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সম্পর্কের বর্তমান গতিপথ অব্যাহত থাকলে, আমি মনে করি সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক একটি ‘অতুলনীয় পরিস্থিতিতে’ পৌঁছেছে, কারণ উভয় দেশ একে অপরকে গভীর সন্দেহের চোখে দেখে। কিসিঞ্জার বলেন, ‘চীনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো আমেরিকা এবং এটি এখানেও (যুক্তরাষ্ট্রের জন্য) সত্য।’
তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে, যুদ্ধগুলো এখন অজেয় হয়ে উঠেছে। কেউ জিতলেও এমন কিছুর বিনিময়ে জিততে হবে যা হিসাবের বাইরে।’ প্রাক্তন এই কূটনীতিক সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘উভয় দেশকে এখন খাদের কিনারা থেকে সরে আসতে হবে।’
কিসিঞ্জার জোর দিয়ে বলেন, ‘সম্পর্কের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে এবং বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বুঝা যায়, উভয় পক্ষই উত্তেজনা প্রশমন করতে চাইছে।’
চীনের সাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন ই ২০২১ সালে হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে এক বৈঠকে
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উত্তেজনা প্রশমিত করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমি যে ধরণের সংলাপের সুপারিশ করেছিলাম, তারা এখনও সেরকম কিছু করেনি। তবে আমি মনে করি তারা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রবীণ এই কূটনীতিক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের আসন্ন চীন সফরের কথা উল্লেখ করেন। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, উভয় পক্ষ যোগাযোগের উন্মুক্ত চ্যানেল বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি উদ্বেগজনক কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করতে চায় এ বৈঠকে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ এর দশকে কমিউনিস্ট চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অন্যতম কারিগর ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার।
সারাবাংলা/আইই