ঘুষকাণ্ডে শিক্ষা কর্মকর্তার কারাদণ্ড
১৫ জুন ২০২৩ ২৩:১৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার কাছ থেকে বদলির বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে (বরখাস্ত) আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আজিমেল কদর ঢাকা জেলার দোহার থানার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে বদলির বিনিময়ে ঘুষ নিতে গিয়ে দুদকের জালে ধরা পড়েন আজিমেল কদর। দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৬১ ধারায় ১ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
‘রায়ের সময় আজিমেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আসামি উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, মামলার অভিযোগকারী ওই সহকারী শিক্ষিকা ২০১৯ সালে ফটিকছড়ির উত্তর পাইন্দং বেড়াজালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। স্কুলটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় যাতায়াতে তার বেশ কষ্ট হতো। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গ্রামের কাছাকাছি স্কুলে বদলির জন্য অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদবির করেন। একপর্যায়ে বদলির জন্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাসলিমা আক্তার দুদক চট্টগ্রাম জেলা অফিসে অভিযোগ করেন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুদক টিম ফাঁদ পেতে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ আজিমেল কদরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দুদক তদন্ত শেষে আদলতে চার্জশিটও দাখিল করে। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় মোট নয় জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
সারাবাংলা/আইসি/একে