Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এডিস মশা নিধনে ঘাটতি থাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ জুন ২০২৩ ১৮:৪৮

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এডিস মশা নিধনে ঘাটতি রয়ে গেছে। তাই ডেঙ্গু পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। আমি আশা করব, সিটি করপোরেশন তার চেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখবে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন ডেঙ্গু বাড়তির দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও সারাদেশে ২০০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকায়। গত দুইদিনে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া উভয়ই মশাবাহিত রোগ। এই রোগ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।’

এডিস মশা নিধনে ঘাটতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এডিস মশা নিধনে ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা নিয়মিত সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছি। তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের গবেষণা টিম কাজ করছে। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সিটি করপোরেশনকে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, সিটি করপোরেশন তার চেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখবে না। আমরা জানতে পেরেছি, নতুন ওষুধ আনা হয়েছে। সেটি ভালো ও কার্যকর কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ম্যালেরিয়ায় এক সময় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ম্যালেরিয়া মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা নোংরা পানিতে জন্মায়। একটি মশা মাসখানেক বেঁচে থাকে এবং অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এরা জীবনকালে অসংখ্য মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে ম্যালেরিয়া রোগী কমে এসেছে ৭৮ শতাংশ এবং মৃত্যু কমে এসে হয়েছে ৯১ শতাংশ। অথচ ২০১৪ সালে দেশে ৫৭ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল, মারা গিয়েছিল ৪৫ জন মানুষ। এ বছর এক হাজার ৪২৫ জন রোগী পাওয়া গেছে, কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ মশা কমেছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘মানুষ সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে বলেই ম্যালেরিয়া অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি সরকার ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি দুর্গম এলাকায়ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে তিনটি পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। সেখানে এখনো আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিচ্ছি।’

মশার জন্য তো কোনো বর্ডার নেই। তবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষ যেন বর্ডার পার করে আসতে না পারে, তাদের যেন পরীক্ষা করা হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য দেশের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি এই তিন জেলায় সব থেকে বেশি ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একে

জাহিদ মালেক টপ নিউজ ডেঙ্গু স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর