Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুলনা ও বরিশালে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ জুন ২০২৩ ১৭:১৩ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ১৭:২৪

ঢাকা: খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোট নেওয়া শুরু হয়েছিল সকাল আটটায়।

দুই সিটিতে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে ভোট চললেও বরিশালে দুপুরের দিকে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েক শ নেতা-কর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। দলটি হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ারও অভিযোগ করে।

সৈয়দ ফজলুল করিমের ওপর হামলার ঘটনার পর ইসলামীদলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বরিশালে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ভিন্ন চিত্র ছিল খুলনায়। সেখানে শহরে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। যদিও শহরতলির বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অন্তত দুপুরের পর বেড়ে যায়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রার্থীরা বলেছেন, ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। আজ হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বর্ণনা করেন আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘এখন ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। হামলাকারীকে আগে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। তারপর তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

দুই সিটির মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন খায়ের আবদুল্লাহ। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তবে ফলাফল যা–ই হোক, তা তিনি মেনে নেবেন।

সকাল সোয়া ৮টায় শহরের রূপাতলী হাউজিং এলাকার শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বরিশাল সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম। ভোট দিয়ে তিনি তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম কন্ট্রোলরুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

বরিশালের ভোটে হামলার ঘটনা ঘটলেও এমনটা শোনা যায়নি খুলনার ভোটে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তিনি নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ এর আগে যে রায় দিয়েছিলেন, সেটি তিনি মেনে নিয়েছিলেন। এবারও জনগণের রায় মেনে নেবেন।

বিজ্ঞাপন

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। মেনে নেব বলেই তো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’

খুলনা সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আবদুল আউয়াল ভোট দেন নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বানিয়া খামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা কেন্দ্রে। ভোট দিয়ে তিনি তার জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।

সারাবাংলা/একে

টপ নিউজ বরিশাল সিটি বরিশাল সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর