নির্বাচন হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে: হুংকার জামায়াতের
১০ জুন ২০২৩ ১৭:৪৫ | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ২২:১৬
ঢাকা: প্রায় সাড়ে ১১ বছর পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েই নির্বাচন ইস্যুতে হুংকার ছাড়লেন জামায়াত নেতারা। তাদের সাফ কথা— আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে জামায়াত নেতারা এ হুঙ্কার দেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহম্মদ তাহের বলেন, ‘চৌদ্দ (২০১৪) গেছে যাক, আঠার (২০১৮) গেছে যাক, ২০২৩ সাল এভাবে আর যাবে না। এবার নির্বাচন হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে। যদি আওয়ামী লীগ এটি বোঝে, নিরপেক্ষ নির্বাচন চান, তাহলে আসুন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে গঠিত হবে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের বিশ্বাস, তাতে সমস্যার একটি সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকার আমরা কেন চাই? সে ব্যাখা আমরা আর না দেই। শুধু একটি কথা বলতে চাই, এবারের নির্বাচন হবে শুধু মাত্র কেয়ারটেকার, কেয়ারটেকার, কেয়ারটেকার এবং সেই দাবি আদায় করার জন্য যা করার দরকার, আন্দোলন করার দরকার, সেই আন্দোলন আমরা করব।’
আব্দুল্লাহ মোহম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের নেতাদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের মাননীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান সজ্জন ব্যক্তি, আল্লাহওয়ালা লোক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, তাকে একটা মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় আটক রাখা হয়েছে। আমরা তার মুক্তি চাই। বাকি সবার (মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজা প্রাপ্ত বন্দি জামায়াত নেতা) মুক্তি আমরা দাবি করতে চাই না। আমরা কী চাই? আমরা চাই ওদেরকে (মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি জামায়াত নেতা) মুক্ত করে নিতে।’
‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, জামায়াতের আটক নেতাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিন। নইলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে’— বলেন আব্দুল্লাহ মোহম্মদ তাহের।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিনিসের মূল্য এত বেশি যে, বস্তা ভরে টাকা নিতে হবে, পকেট ভরে জিনিস কিনতে হবে। আবার রিপিট করছি, বস্তা ভরে টাকা নিতে হবে, পকেট ভরে জিনিস কিনতে হবে। দ্রব্যমূল্য’র বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যাখ্যা আর প্রয়োজন নেই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ড. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/একে