Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশ কনস্টেবল বাদল হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২৩ ১৭:১৪

ঢাকা: ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ের তাদের আরও পাঁচ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা তেহসিন ইফতেখারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ন কবীর।

পর্যবেক্ষণে বিচারক জানান, আসামিরা এতটা বেপরোয়া যে পুলিশ সদস্যকে পর্যন্ত খুন করতে দ্বিধাবোধ করেনি।

আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে অপর দুই আসামি পলাতক আছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান এ সব তথ্য জানান।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিএন্ডটি কলোনী এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মামলা করেন।

এরপরে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনী এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারা সন্দেহ করেন, বাদল মিয়া থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেফতার করিয়েছে। রিপনের আত্মীয় গোপালের নাম প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ ধারণার বশবর্তী হয়ে বাদল মিয়াকে আসামিরা কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্তর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। লাশ গোপন করতে সিএন্ডটি স্কুল এন্ড কলেজের পাশে রোডে ফেলে যায়।

২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল মামলাটি তদন্ত করে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম।

মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/ইআ

টপ নিউজ বাদল হত্যা মামলা