‘জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছাকাটা বন্ধ’
৪ জুন ২০২৩ ২৩:৪০
ঢাকা: জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাছকাটা বন্ধ করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জানান তিনি। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
শাহাব উদ্দিন জানান, জাতীয় বন নীতি-১৯৯৪ অনুযায়ী সরকার প্রধানের অনুমোদন ছাড়া সংরক্ষিত বন বনায়ন বহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। বন অধিদফতর রক্ষিত এলাকায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সহ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বনভূমির ব্যবস্থাপনা ও বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ। তবে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের আয়তনের শতকরা ২২ দশমিক ৩৭ ভাগ।’
তিনি জানান, বন অধিদফতর প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় মাসব্যাপী এবং সারাদেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বন অধিদফতর বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের পাশাপাশি জনগণের মাঝে পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে।
বন অধিদফতর সারাদেশে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে সড়ক, রেল, বাঁধের পাশে ও প্রান্তিক ভূমিতে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বাড়াচ্ছে বলে সংসদকে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম