Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মে মাসে রফতানি বেড়েছে ২৭ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৩ ২০:৫৮

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে ৪৮৫ কোটি ডলারে পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম।

রোববার (৪ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গেল এপ্রিল মাসে দেশের রফতানি আয় হোঁচট খায়। ওই মাসে কমেছিল প্রবাসী আয়ও। গেল এপ্রিল মাসে আগের একই বছরের চেয়ে রফতানি আয় সাড়ে ১৬ শতাংশ কমে যায়। মাসটিতে রফতানি হয়েছে ৪০০ কোটি ডলারেরও কম। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কমে সাড়ে ২১ শতাংশ। তবে মাস ব্যবধানেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা রফতানি আয়।

ইপিবির তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাসে রফতানি হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য। গেল ২০২১-২২ অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে এই আয় ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের মে মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১২ কোটি ডলার। ২০২২ সালের মে মাসে আয় হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য।

এদিকে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫ হাজার ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানিনি হয়। এই রফতানি আয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গেল অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ডলারের পণ্য।

ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। পোশাকের নীটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ ও ওভেনে ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। রফতানি হয়েছে ১১২ কোটি ডলারের পণ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০২ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি হয়েছে। এ খাতের রফতানি কমেছে ৩০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রফতানি কমে গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ১১ মাসে হিয়ামিত মাছ রফতানিতে ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, কৃষিপণ্য ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ক্যামিক্যাল পণ্যে ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, হ্যান্ডিক্রাফটসে ৩২ দশমিক ১৪ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, কার্পেটে ৩১ শতাংশ, স্পেশালাইজড টেক্সটাইলে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও হোম টেক্সটাইলে ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক পণ্যে ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে দশমিক ৪২ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্যে ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, পেপার অ্যান্ড পেপার পণ্যে ১২৯ শতাংশ, প্রিন্টেড পণ্যে ২৮০ শতাংশ, তুলা ও তুলাজাতীয় পণ্যে ৭৩ শতাংশ, ম্যান মেইড ফিলামেন্টে ৪৩ শতাংশ ও পোশাকে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মূলত পোশাকে ভর করেই দেশের রফতানি আয়ে এখনও ৭ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

টপ নিউজ প্রবৃদ্ধি রফতানি আয়

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর