রবীন্দ্র মন্দির, রবি ঠাকুর যেখানে দেবতা
৯ মে ২০১৮ ১৭:১৭ | আপডেট: ৯ মে ২০১৮ ১৭:১৮
।। কলকাতা থেকে ।।
বিশ্বের একমাত্র মন্দির, যেখানে রবীন্দনাথ ঠাকুরকে বসানো হয়েছে দেবতার আসনে। দেবতারূপে পূজিত হন রবি ঠাকুর।
না শুরুর দিনটা ঠিক আজ কেউ মনে করতে পারে না। আর নতুন প্রজন্মের অনেকেরই তা একেবারেই অজানা। তবে শুরু টা হয়েছিল পশ্চমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের ইস্টার্ন বাইপাশ সংলগ্ন ঠাকুর নগরে। এই এলাকার বাসিন্দা শরৎ চন্দ্র দাসের হাত ধরে। এই স্থানেই গড়ে উঠছে বিশ্বে দেবতারূপে পূজা করার রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের একমাত্র মন্দির।
কথিত আছে ছোটবেলা থেকে ধ্যান-জ্ঞান ও আদর্শ হিসাবে রবি ঠাকুরকে মেনে চলতেন শরৎবাবু। একটু বড় হোতেই গুরুদেবের সন্ধানে বাড়ী থেকে ঠাকুর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন গুরুদেব শান্তিনিকেতনে রয়েছেন। শান্তিনিকেতনে পৌঁছলেও গুরুদেবে সঙ্গে তার দেখা হয়নি। তবে কি কারণে তা ঠিক স্পষ্ট নয়। তিনি ফিরে আসেন শিলিগুড়িতে।
তবে আশা ছাড়েননি। দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য, যেমন প্রয়োজন ধ্যানের, তেমনি গুরুদেবের দর্শন পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সাহু নদীর তীরে বসে শুরু করেন ধ্যান। অবশেষে গুরুদেব তাকে স্বপ্নাদেশ দেন ও তাকে গুরু মন্ত্র দিয়েছিলেন বলেই জানে অনেকে।
যে জায়গায় বসে শরৎ বাবু গুরুদেবের ধ্যান করতেন সেই স্থানেই গড়ে তোলেন বিশ্বকবি রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের মন্দির। প্রথমা দিকে তার কাজটাকে কিছুটা পাগলামো মনে হলেও ধীরে ধীরে স্থানীয়রা মন্দির তৈরিতে এগিয়ে আসেন। রবি ঠাকুর মন্দিরের জন্য যে গ্রামে শরৎ বাবু বাস করতেন দিনে দিনে সেই গ্রামের নাম হয়ে যায় ঠাকুর নগর।
মন্দিরে যেমন আরাধ্য দেবতা পূজিত হয় । ঠিক সেই ভাবে রোজ মন্দিরে নিয়ম মেনে পূজিত হয় কবিগুরু। নিয়ম ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নিত্য পূজা হয় রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের।
যতদিন শরৎ বাবু জীবিত ছিলেন ততদিন নিজেই পূজো করতেন। বর্তমানে এলাকার বাসিন্দারা নিত্য পূজোর জন্য রেখেছেন পুরহিত। তিনিই নিয়ম করে দুবেলা পূজো করেন।
প্রতি বছর ২৫শে বৈশাখ ও ২২শে শ্রাবণ মহা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় রবি ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী ও তিরোধান দিবস।
সারাবাংলা/এসপি/এমআই