Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে আইএমএফ’র শর্তের প্রতিফলন দেখা গেছে: সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৩ ১৪:৫১ | আপডেট: ২ জুন ২০২৩ ১৭:৫৪

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের কমবেশি প্রতিফলন দেখা গেছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শুক্রবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালাগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪, সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পর্যালোচনা তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও জেষ্ঠ্য গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “সংস্কার সম্পৃক্ত বিভিন্ন সূচকে আমরা আইএমএফে’র বিভিন্ন শর্তের প্রতিফলন কমবেশি দেখতে পাই, যদিও এটি পর্যাপ্ত নয়। সরকার ধীরে ধীরে সে পথে হাঁটছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব সংস্কারে হাত দেওয়া হয়নি। সম্ভবত নির্বাচনের পরে কৃষি ও জ্বালানি খাতে মূল্য সমন্বয় করবে।’

তিনি বলেন, ‘বাজেট ডকুমেন্টে তিনটি যায়গায় আইএমএফ শব্দটি বলা হয়েছে। সেগুলো কিন্তু সরাসরি আইএমএফ’র সংস্কার নিয়ে নয়। বরং কোথায় আইএমএফ বাংলাদেশের প্রশংসং করেছে, আইএমএফ’র কোন উদ্বৃতি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের উপর- সেগুলো বলা হয়েছে। সংস্কার সম্পৃক্ত বিভিন্ন সূচকে আমরা আইএমএফ’র বিভিন্ন শর্তের প্রতিফলন কম বেশি দেখতে পাই, যদিও এটি পর্যাপ্ত না। এখনও সরকার আইএমএফ’র সংস্কার বা সামগ্রিক সংস্কারের জন্য যে প্রস্তুতি- মানসিক প্রস্তুতি পুরে নিয়ে সারতে পারেনি। এখনও সরকার হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংস্কারের দিকে এগুচ্ছে। কিন্তু এর বাস্তবতা অনুধাবন করছে। তবে যে সংস্কারগুলো পুরোপুরি করা দরকার এখনও সেদিকে ঢুকেনি। সম্ভবত নির্বাচন সামনে আছে বলেই এ জায়গাগুলোতে হাত দেয়নি, ফলে ভর্তুকি এখনও একই জায়গায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কৃষি ও জ্বালানিতে খাতে মূল্য সমন্বয় সম্ভবত আমরা নির্বাচনের পরে দেখতে পাবো। নির্বাচনের পরে হয়তো সরকার জোরালোভাবেই সংস্কার কার্যক্রমে হাত দেবে।’

বিজ্ঞাপন

এবারের বাজেট নির্বাচনী কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সরকারের হাতে এবার খুব বেশি বড় রাজস্ব নেই। সরকার ঘাটতির অর্থ দিতে পারেনি। যে কাজটি সরকার করেছে, যে সুবিধাগুলো আইএমএফে’র শর্ত অনুযায়ী কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে সেই সুবিধাগুলোতে সরকার হাত দেয়নি, বিভিন্ন সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে। তার ভেতরে রয়েছে কর কাঠামোতে হাত না দেওয়া, তার ভেতরে রয়েছে ব্যক্তিশ্রেণীর যে ইনকাম ট্যাক্স তাতে হাত না দেওয়া, তার ভেতরে রয়েছে রফতানি প্রণোদনার জন্য যে টাকাটি সেখানে হাত না দেওয়া। নতুনবা কিন্তু এই বছর থেকেই এগুলোতে হাত দেওয়ার কথা ছিলো। সম্ভবত সরকার নির্বাচনের পরে এই সংস্কারগুলোতে হাত দেবেন, যদি আইএমএফ’র সঙ্গে অব্যাহতভাবে এই সংস্কারগুলো অব্যাহত রাখে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিরেক্ট ট্যাক্স (প্রত্যক্ষ কর) বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখনও আমাদের চরম অনিহা। এবং সেই ডিরক্টে ট্যাক্সের ভেতরে সুবিধাভোগী কারা যাদের জন্য আমরা এগুলো করতে চাচ্ছিনা, তারা বড় বড় ব্যবসায়ী ও বড় বড় আয়গোষ্ঠীর মানুষ। তাদের আমরা টাচ (স্পর্শ) করতে চাচ্ছি না। আমরা ইনডিরেক্ট ট্যাক্স (পরোক্ষ কর) বাড়াতে চাচ্ছি।’

এদিকে, বাজেটে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাকে উচ্চবিলাসী ও বাস্তবসম্মত নয় বলেও মন্তব্য করেছে সিপিডি। নূন্যতম ২ হাজার টাকা কর করার বিষয়টিকে ‘অন্যায্য, বৈষম্যমূলক ও সাংঘর্ষিকও’ বলেছে বেসরকারি এই গবেষণা সংস্থা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

আইএমএফ টপ নিউজ বাজেট সিপিডি

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর