বাজেটকে জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না: জি এম কাদের
১ জুন ২০২৩ ২২:৫৬
ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নির্বাচনকে সমানে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের বাজেট ১ লাখ কোটি টাকা বেশি। এই বাজেটকে বাস্তবসম্মত ও জনবান্ধব মনে করছি না।
বৃহস্পতিার (১ জুন) বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের মেটাল গেটে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপাকালে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে এসব কথা বলেন তিনি।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। সরাসরি ট্যাক্সের পাশাপাশি সব কিছুতেই ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিস পত্রের দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে, কিন্তু জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলছে। এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছ্রতা সাধণের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিস পত্রের দাম আরও বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফ’র কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেয়া হচ্ছে তাতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। আমার মনে হয় এই বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে না, বরং বাড়বে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম