লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ, প্রভাব পড়ছে ব্যবসা বাণিজ্যে
১ জুন ২০২৩ ১৫:০৬ | আপডেট: ১ জুন ২০২৩ ১৫:৫০
রংপুর: একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। সব মিলে বিপর্যস্ত রংপুরের নগরবাসী। লোডশেডিংয়ের কারণে কর্মহীন কাটছে বিদ্যুৎ নির্ভর কাজের মানুষদের অধিকাংশ সময়। এতে নাগরিক জীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি টান পড়ছে জীবিকাতেও।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলছেন, রংপুরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একদিকে তীব্র দাবদাহ অন্যদিকে অস্বাভাবিক লোডশেডিং দিনকে দিন পরিস্থিতি দুর্বিসহ করে তুলছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে প্রভাব পড়ছে ব্যবসা বাণিজ্যে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী খাদিমুজ্জামান সাজিদ বলেন, ‘প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তীব্র দাবদাহ, আবার রাতদিনের বেশির ভাগ সময় থাকে না বিদ্যুৎ। এতে তৈরি হয়েছে জনজীবনে অচলাবস্থা।’
নগরির বাসিন্দা আফজাল হোসেন ও মোহাইমিনুল হক বলেন, ‘সারাদিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ এসে আধাঘণ্টা থাকে আবারও বিদ্যুৎ চলে যায়। এভাবে আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে বাসায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিং হওয়ায় কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।’
অন্যদিকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে তাদেরও সমস্যা হচ্ছে। নগরির সুপার মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্যবসায় মূল আকর্ষণ হলো ক্রেতা আকর্ষণ করা। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে ক্রেতাও আসেনা মার্কেটে। এতে করে আমাদের ব্যবসাতেও সমস্যা হচ্ছে।
রংপুর বিসিক এলাকায় অবস্থিত বিসমিল্লাহ্ এন্টার প্রাইজের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাজের জন্য সম্পূর্ণ বিদ্যুতের উপর নির্ভর করে চলতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু শ্রমিকদের তো বেতন দেওয়া লাগে।’
তবে লোডশেডিংয়ের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে রাজি হননি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকো। নেসকোর রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘যেখানে লোডশেডিং নিয়ে মন্ত্রী, সচিব কথা বলছেন সেখানে আমি কি বলব।’
তিনি জানান, নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাভুক্ত রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় প্রয়োজন ৮৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে মিলছে ৭৩১ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি থাকছে ৯০ মেগাওয়াট।
এদিকে স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকবে।’
সারাবাংলা/ইআ