Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখন আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ মে ২০২৩ ১৫:০৭ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৮:২৭

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ভয় করেও লাভ নেই। অস্তিত্ব রক্ষায়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সকল বাধা অতিক্রম করে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা বলতে কিছু নেই। এতদিন যে কথাগুলো বলছি সে কথাগুলো কাজে লাগেনি, তাই না? কথা কাজে লেগেছে। অবশেষে একটা জায়গায় আসা গেছে। আগে আমরা যারা ভুক্তভোগী ছিলাম, তারাই শুধু চিৎকার করতাম। সাংবাদিকরা অনেক ভুক্তভোগী। তাদের কিছু লেখা ছাপা হতো, কিছু লেখা ছাপা হতো না। আজকে সমগ্র বিশ্ব এ কথা স্বীকার করেছে যে, বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো জায়গা নেই।’

‘তখনই আমাদেরকে কষ্ট দেয়, পীড়া দেয়- যখন দেখি আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু সহযোগী সহকর্মী যারা অবলীয়ায় সাংবাদিকদের দমনকে সমর্থন করে। এটা সত্য কথা- প্রতিবাদ না করলে, রুখে না দাঁড়ালে, সোচ্চার না হলে, কোনো দাবি আদায় করা যায় না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাহলে দেশের মানুষ মত প্রকাশ করতে পারবে না। এরা থাকলে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে না, তারা ভোট দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা শুধু আমার কথা না, এটা প্রত্যেকের কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কখনওই গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই আনন্দ পাচ্ছেন। তারা বলছেন ভিসা নীতিতে তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি, এটাও অনেকে বলছেন। কী মজা! কী অদ্ভুত যুক্তি! তাদের কী আনন্দ হচ্ছে, তারা বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে কথা বলা হয়নি। অথচ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া আমাদের সংবিধানই গ্রহণযোগ্য হবে না। এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এদেরকে পরাজিত করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘৫০-৫২ বছর পর একটা বিস্ময়কর ব্যাপারে হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাকি বেশি রেমিটেন্স আসছে। কিন্তু আমেরিকায় যারা বাস করে তারা কখনওই দেশে এসে লগ্নি করে না। বিনিয়োগ করে না। দরকার হলে তারা এখানকার বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দিয়ে যায়। এখন নাকি ফিরে আসছে! কেন? যারা চুরি করেছে। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেইগুলো আবার দেশে রেমিট্যান্স করে নিয়ে আসছে। আবার তাদেরকে আড়াই পার্সেন্ট ইন্সেন্টিপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।’

ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা আব্দুল হালিম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, সাংবাদিক নেতা আব্দুল হাই শিকদার, শাহ নেওয়াজ আলী, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, এম এ আব্দুলাহ,শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

টপ নিউজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর